মুয়ায ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অত্যন্ত প্রিয় একজন সাহাবি। নবিজী তাকে এতো পছন্দ করতেন যে— কোথাও যাওয়ার সময় মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহুকে সাথে নিয়ে নিজের বাহনে চেপে বসতেন। একদিন মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাত ধরে নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘মুয়ায, আল্লাহর শপথ আমি তোমাকে ভালোবাসি’। নবিজী ভালোবাসেন মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহুকে। যাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তায়ালা বাছাই করেছেন মানবতার দূত হিশেবে, গোটা সৃষ্টি জগতের জন্য যাকে রহমত হিশেবে পাঠানো হয়েছে, সপ্ত আসমানের ওপারে ডেকে নিয়ে যার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন স্বয়ং বিশ্ব জাহানের অধিপতি— সেই মহা-মানব যখন কারো হাত ধরে বলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, একবার ভাবুন তো একজীবনে সেই প্রাপ্তিটা তখন কতো বিশাল হয়ে দাঁড়ায়? মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহু সম্মানিত সেই মহা-সৌভাগ্যবানদের একজন! তবে, ভালোবাসার কথা জানিয়েই কিন্তু নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দায়িত্ব শেষ করেননি। ভালোবাসার কথা জানানোর পর মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহুকে তিনি এমন কিছু শিখিয়ে দেন যা তাকে আল্লাহ সুবহানাহু ও...
বর্তমান যুগ হলো প্রেজেন্টাশানের যুগ। একটা জিনিসকে আপনি কিভাবে, কতোটা সহজে, কতোটা সাবলীলভাবে, কতোটা মাধুর্যতায় প্রেজেন্টেশান করছেন তার উপর কিন্তু অনেক কিছুই নির্ভর করে। ন্যাচারালি, মানুষের একটা স্বভাব হচ্ছে – এরা তত্ত্বকথা খুব কম হজম করতে পারে। এরা চায় সহজবোধ্যতা। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এর লেখক আরিফ আজাদ ঠিক এই পদ্ধতিই বেছে নিয়েছেন। তিনি গতানুগতিক লেকচার বা তত্বকথার ধাঁচে না গিয়ে, বক্তব্যের বিষয়গুলোকে গল্পের ধাঁচে ফেলে সাজিয়েছেন। প্রতিটি গল্পের শুরুতেই আছে মজার, আগ্রহ উদ্দীপক একটি সূচনা। কোথাও বা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদের সাথে তাঁর বন্ধু আরিফের খুনসুটি, কোথাও বা মজার কোন স্মৃতির রোমন্থন, কোথাও বা আছে সিরিয়াস কোন ব্যাপারে সিরিয়াস কোন হুশিয়ারি। গল্পে মজা আছে, আনন্দ আছে। মোটামুটি, সার্থক গল্পে যা যা উপাদান থাকা দরকার, যা যা থাকলে পাঠকের গল্প পাঠে বিরক্তি আসেনা, রুচি হারায় না- তার সবকিছুর এক সম্মিলিত সন্নিবেশ যেন লেখক আরিফ আজাদের এই সিরিজের একেকটি এপিসোড। গল্পে গল্পে যুক্তি খন্ডন, পাল্টা যুক্তি ছুঁড়ে দেওয়া, পরম মমতায় অবিশ্বাসের অন্ধকার দূরীকরণে এ যেন এক বিশ্বস্ত শি...